২১/১২/২০২৪ ইং
Home / সারাবাংলা / চট্রগ্রাম / কুতুবুল আলম শাহ ছূফী হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

কুতুবুল আলম শাহ ছূফী হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

কুতুবুল আলম শাহ ছূফী হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ই জুন ২০২১ খ্রিস্টাব্দ

মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসাইন :

বায়তুশ শরফের প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম মোর্শেদে বরহক, অলিয়ে কামেল, শাহ ছূফী হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ:) ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা ওলী। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞা, অতুলনীয় কর্মশক্তি, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য তিনি সম-সাময়িক যুগের আধ্যাত্মিক সাধকগণের মধ্যে উজ্জ্বলতম নক্ষত্ররূপে প্রজ্জ্বলিত হয়ে আছেন। চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদার বাড়ীস্থ সুপ্রাচীন মীর বংশে এ অনন্য ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়। তাঁর পিতা হযরত শাহ্ ছুফী মাওলানা হাফেজ মীর মসউদ আলী (রাহ:) ছিলেন সে যুগের একজন প্রখ্যাত আলেম ও আধ্যাত্মিক সাধক। তিনি আলা হযরত ফুরফুরা নিবাসী হযরত মাওলানা শাহ আবু বকর ছিদ্দিকী (রাহ:) এর খলিফা ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ছিলেন হযরত গাউসুল আজম শেখ আবদুল কাদের জিলানী (রাহ:) এর প্রত্যক্ষ বংশধর। তাই হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ:) ছাহেব পিতৃ সূত্রে তাঁর ধমনীতে উক্ত পবিত্র রক্তের উত্তরাধিকারী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন।

হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ:) ছাহেব ভূমিষ্ট হয়েছিলেন তাঁর মামার বাড়ী রাংগুনিয়া থানার ব্ৰহ্মোত্তর নামক গ্রামে। তাঁর নানাজান হযরত আলহাজ্ব শাহ্ ছূফী মাওলানা আকরম আলী ছাহেব (রাহ:) ও ছিলেন একজন প্রখ্যাত আলেম ও অসাধারণ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন কামেল ওলী।

বাল্যকালে তাঁর শিক্ষা শুরু হয় তাঁর মামারবাড়ী রাংগুনিয়াতে। পরে তার সম্মানিত পিতা চট্টগ্রামের দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসায় মোদাররেছ হিসেবে যোগদান করলে তিনিও দারুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পাঠ্যাবস্থায় তিনি বেশ কয়েক জন যুগ-শ্ৰেষ্ঠ আউলিয়ার সান্নিধ্য ও স্নেহের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। তন্মধ্যে আওলাদে রাসূল (সাঃ) হযরত সৈয়দ আবদুল হামিদ বোগদাদী (রাহ:),হযরত হামেদ হাসান আজমগড়ী (রাহ:),আলা হযরত শাহ্ ছুফী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী (রাহ:) (ফুরফুরা শরীফ) এবং চুনতীর হযরত মাওলানা শাহ্ নজির আহমদ ছাহেব (রাহ:) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উক্ত যুগ-শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষগণের প্রত্যেকে তাঁর ভবিষ্যতের উচ্চতম আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা সম্বন্ধে আভাষ প্রদান করে গিয়েছিলেন।

দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে সসম্মানে ফাজিল (উলা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি হিন্দুস্থানের প্রসিদ্ধ দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্র দেওবন্দ মাদ্রাসায় হাদীস অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দেওবন্দে পাঠ্যাবস্থায় স্বপ্নযোগে ছরকারে দোজাহান নবী করীম (সাঃ) এর এক নির্দেশে তিনি হযরত খাজা গরীব নওয়াজ মঈনুদিন চিশতি (রাহ:) এর মাযারে গমন করেন এবং সেখানে তার মোর্শেদে বরহক হযরত সৈয়দ শাহ মোনছরম শাহ্ খোরাসানী (রাহ:) এর সাথে মোলাকাত হয়ে তাঁর পবিত্র হস্তে ত্বরীকায়ে আলীয়ায়ে কাদেরীয়াতে বায়াত হন। সেই থেকে পীর মোর্শেদের তত্ত্বাবধানে তাঁর আধ্যাত্মিক শিক্ষা শুরু হয়।

তাঁর আধ্যাত্মিক সাধনার পথে তাঁর মহান মোর্শেদ এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সাধক পুরুষগণের বহু অবদান থাকলেও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য সর্বস্ব ত্যাগের অনুপ্রেরণা জন্মলগ্ন থেকেই তাঁর চরিত্রে নিহীত ছিল। ইসলামের ইতিহাসের বিখ্যাত আউলিয়ায়ে কেরামগণের ন্যায় শৈশব হতেই তিনি ছিলেন সবদিক থেকে স্বতন্ত্র। শিশু সুলত কোন চঞ্চলতা, চপলতা বা খেলাধূলার প্রতি কোন আগ্রহ কোন সময়ই তাঁর ছিলনা। তাঁর সহপাঠিগণ থেকে জানা যায়, দারুল উলুমে পাঠ্যাবস্থায়ও তিনি সকল সাথীদের থেকে আলাদা থাকতেন। সুযোগ পেলেই যিকির-আযকার, তাছবীহ-তেলাওয়াত বা নফল এবাদতে নিমগ্ন হয়ে যেতেন, আউলিয়া কেরামগণের মাযার জেয়ারত করতেন এবং জীবিত অলীগণের ছোহবতে থাকতে চেষ্টা করতেন। অনেক সময় সমুদ্রতীর বা নির্জন পাহাড়ে জংগলে একাকী ঘুরে বেড়াতেন। লোকজনের কোলাহলের বাইরে নির্জন স্থানে সন্ধান করতেন স্রষ্টার সান্নিধ্য। এশকে এলাহীর অনন্ত পিপাসা তাঁকে তরুণ বয়সেই আধ্যাত্মিক জগতের বহু উচ্চস্থরে উন্নীত করে। তাই তরুণ বয়সকালেই প্রখ্যাত দরবেশ, চট্টগ্রামের আধ্যাত্মিক বিপ্লবের অন্যতম বীর মোজাহীদ হযরত হামেদ হাসান আজমগড়ী হাহেব (রাহ:) তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আখতরজী আভি ভি বহুত বড়া হে, উয়‍্যে আউর ভি বহুত বড়া হোগা (অর্থাৎ, আখতরজী এখনও অনেক বড়, তিনি আরো অনেক বড় হবেন)।’

হিন্দুস্থানে শিক্ষা সমাপন ও নিজ পীর মোর্শেদের তরফ থেকে খেলাফত প্রাপ্তির পর হতে তিনি নিজস্ব আধ্যাত্মিক বিপ্লবের সূচনা করেন। সে বিপ্লবের মাধ্যম হিসাবে তিনি গ্রহণ করেছিলেন তাঁর পীর মোর্শেদের অনুসৃত তরীকায়ে আলীয়ায়ে কাদেরীয়া। আজীবন তিনি শহরবাসী হওয়া সত্ত্বেও মানুষের শিক্ষা ও হেদায়তের মহৎ উদেশ্যে বহু দুর্গম পল্লীগ্রামে পর্যন্ত খানকা অথবা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে মানুষকে দীন-দুনিয়ার শিক্ষা এবং ত্বরীকতের ছবক প্রদান করেছেন।

আখতরাবাদ (কুমিরাঘোনা) নামক এক অখ্যাত পল্লীতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত হেদায়াতের কেন্দ্র বর্তমানে এ দেশের একটি শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং মানবসেবা মূলক কর্মকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শরীয়ত ও ত্বরীকত সম্পর্কে আল্লাহর বান্দাগণকে বাস্তব শিক্ষা দেয়ার নিয়‍্যতে এখানে তিনি ছৈয়‍্যদুনা গাউসুল আজম শেখ আবদুল কাদের জিলানী (রাহ:) এর পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছাওয়াবের প্রবর্তন করেন যা আজও তাঁর মহান খলিফায়ে আযম হাদীয়ে যমান শাহ ছূফী আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ছাহেব (রাহ:) এর সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রতি বৎসর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ মাহফিলে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়। এ মাহ্ফিলের আদাব ও শৃঙ্খলা যে কোন মানুষকে এখনও বিমুগ্ধ করে।

বদান্যতা ছিল তাঁর চরিত্রের একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। এদেশের বহু মসজিদ মাদ্রাসা তাঁর অর্থানুকূল্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শতশত গরীব অসহায় তাঁর দানে উপকৃত হয়েছে। বিশেষ করে বহু গরীব ছাত্র তাঁর প্রত্যক্ষ সহায়তায় উচ্চতর শিক্ষা লাভে সমর্থ হয়েছে। তাঁর দানশীলতার পরিমাণ ও ব্যাপকতা ছিল সত্যিই বিস্ময়কর, যা আজও এ দেশের সকল আলেম-ওলামা ও পীর বুজুর্গণের জন্য একটি অনুসরণীয় উদাহরণ হয়ে আছে।

কোরআন, হাদীস, ফিকাহ, ইতিহাস ও ইসলামের অন্যান্য দিকে তাঁর জ্ঞান ছিল খুবই গভীর। ধর্মীয় ব্যাপারে তাঁর প্রজ্ঞা যুগের শ্ৰেষ্ঠ আলেমগণকে পর্যন্ত বিস্মিত করেছে। কিন্তু তিনি সে জ্ঞান নিয়ে পাণ্ডিত্য প্রদর্শন করাকে ঘৃণা করতেন। তাঁর আলাপ আলোচনা ছিল অতি সহজ ও প্রাঞ্জল। তিনি ক্ষুদ্রতম মতভেদ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ঘোর বিরোধী ছিলেন। সকল মুসলমান ঈমানী ভাই, তাদের মধ্যে সৌহার্দ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করাকে তিনি ঈমানী কর্তব্য মনে করতেন। সর্ব সাধারণের মাঝে আলেম সমাজের মর্যাদা সমুন্নত করতে তিনি আজীবন চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।

তাঁর জীবন ছিল অত্যন্ত কর্মময়। সময়ের মূল্য ছিল তাঁর কাছে অত্যন্ত বেশী। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই তিনি আল্লাহর এবাদত এবং মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য লাভের একমাত্র উদেশ্যে আজীবন তিনি কঠিন
রেয়াজতে নিমগ্ন ছিলেন। তবে তার সকল নফল এবাদত ছিল লোক চক্ষুর অন্তরালে। গরীব অসহায় ব্যক্তিদের সাহায্য করার সময়েও তিনি অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করতেন এবং নিজ অনুগামীদেরকে সেভাবে করার শিক্ষা প্রদান করেছেন।

জীবনের প্রতিটি মুহুৰ্তকেই তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বুদবুদের ন্যায় বিলীন করে দিয়েছিলেন এবং সে অনন্য সাধনা ও একাগ্রতা তাঁকে আধ্যাত্মিকতার অতি উচ্চ শিখরে উন্নীত করেছিল। চট্টগ্রামের হযরত শাহ্ মাওলানা ওলী আহমদ ছাহেব (রাহ:) এবং পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে লারকানার সুপ্রসিদ্ধ ওলী হযরত শাহ হাফেজ মাওলানা আবুল কাশেম মাসুরীর ন্যায় যুগ শ্ৰেষ্ঠ ওলীগণ তাঁকে তাঁর যুগে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব বলে সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাঁর উচ্চতম আধ্যাত্মিক শক্তিকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন খোদ মক্কায়ে মোয়াজ্জমার মহান সাধক দরবেশ হযরত বশির আহমদ শাহ (রাহ:), চট্টগ্রামের প্রখ্যাত ছালেকে মজ্জুব হযরত মাওলানা হাফেজ আহমদ শাহ (রাহ:) চুনতীর শাহ ছাহেব, হযরত শাহ বদিউর রহমান আরকানী (রাহ:) এবং এমনই আরো অনেক শ্ৰেষ্ঠ আওলিয়া বুযুর্গগণ। খোদ মক্কায়ে মোয়াজ্জামায় তায়েফের আবদালকে দেখা গেছে তাঁর কাছে বা-আদব দোয়া প্রার্থনা করতেন।

ভারত উপমহাদেশ ছাড়াও মক্কায়ে মোয়াজ্জমা ও মদীনায়ে মনোয়ারাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে তাঁর বহু ভক্তবৃন্দ ছিলেন, যাঁরা তাঁর অসাধারণ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ও কেরামত দর্শনে তাঁর ভক্ত অনুরক্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত নির্ভীক ও স্বাবলম্বী ছিলেন। এক আল্লাহ ছাড়া কারো পরোয়া না করে সরল জীবন যাপনের তিনি ছিলেন জ্বলত্ত দৃষ্টান্ত। আলেম-ওলামাগণকে তিনি উপদেশ দিতেন- ‘আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে হাত পাতবেন না ৷ আল্লাহর মােহ্তাজী করুন, দুনিয়া আপনার মােহ্তাজী করবে।’ তিনি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মানুষকে সম্মোহিত করে রাখত৷

তাঁর জীবনের একটি প্রধান অংশ তিনি হজ্বব্রত এবং পৃথিবীর বিখ্যাত আউলিয়া কেরামগণের মাযার যেয়ারতে অতিবাহিত করেছেন। আরব, ইরাক, মিশর ও ইয়ামেনসহ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র সমূহ তিনি সফর করেছেন। ১৯৭১ সালে জীবনের ২৯তম হজ্বব্রত পালনের সময়ে আরাফাতে অবস্থানের পরে দিবাগত রাতে তিনি মিনা হসপিটালে এহরাম অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন- (ইন্না-লিল্লাহী ওয়া ইন্না-ইলাইহী রাজিউন। উল্লেখ্য, ঐদিন ছিল আকবরী হজ্ব, পবিত্র জান্নাতুল মােয়াল্লায় তাকে সমাহিত করা হয়।

দুঃস্থ মানবতার সেবার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৫২ সালে ‘আন‍জুমনে ইত্তেহাদ’ নামক একটি অরাজনৈতিক মানবসেবামূলক সংগঠন কায়েম করেছিলেন, যা আজ তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী খলিফায়ে আযমের যোগ্য পরিচালনায় জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত “আন‍জুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ” নামে এদেশের একটি শ্রেষ্ঠ মানবসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাঁর স্থাপিত মসজিদ বায়তুশ শরফ বর্তমানে একটি শীর্ষস্থানীয় শরীয়ত ও ত্বরীকতের শিক্ষা কেন্দ্র।

তাঁর পরিবারের মধ্যে অনেক উপযুক্ত আলেম থাকা সত্বেও তিনি বায়তুশ শরফের বর্তমান পীর ছাহেব হাদীয়ে যামান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ:) ছাহেবকে তাঁর খলিফায়ে আযম নিযুক্ত করে যান। একমাত্র চারিত্রিক গুণাবলী ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতার বিচারেই তিনি তাঁর কায়েম মোকাম নির্বাচিত করে গেছেন, যা তাঁর অসাধারণ দূরদর্শিতা ও খুলুছিয়তের একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ। লক্ষ লক্ষ টাকা আল্লাহর রাস্তায় দান করা সত্বেও তাঁর মহান পিতার ন্যায় তিনিও ছিলেন আজীবন পর্ণ-কুটিরবাসী ৷ তাঁর শনের ছাউনি গৃহে প্রাচুর্য ও স্বাচ্ছন্দেৱ কোন উপকরণই ছিল না

তাঁর মূল্যবান জীবনে অজস্র কারামত প্রকাশ পেয়েছে। যা এ ক্ষুদ্র বর্ণনায় মোটেই সম্ভব নয়। তবে তাঁর সব চাইতে বড় কারামত তাঁর মহৎ জীবন। তিনি এদেশের একমাত্র ব্যক্তিত্ব, যিনি খােদ খাজা মঈনুদ্দীন চিশ‍্তী (রাহ:) এর নির্দেশে আজমীর শরীফের জামে মসজিদে জুমার খুতবা প্রদান করেছেন এবং ইমামতি করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

About newsdesk

Check Also

চবিতে শুরু হচ্ছে ডোপ টেস্ট, পজিটিভ হলে সিট বাতিল

🕒 অপরাধ ☰ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ✒️নিজস্ব প্রতিবেদক (চট্টগ্রাম) | নিউজ ডেস্ক- তালাশটিভি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *