চকবাজারস্থ এলাকায় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ
প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২০শে মে, ২০২১ ইংরেজি
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজারস্থ মোহাম্মদ আলি শাহ (রাহ.) এর মাজার সংলগ্ন মোঃ জসিম উদ্দিন নামের এক সহজ সরল ব্যক্তির জায়গা দখল করে আছে স্থানীয় কুচক্র-মহল, ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাং।
মোঃ জসিম উদ্দিন বিগত ২০০০ সালে মোঃ নুরুল আমিনের নিকট থেকে ৫ গন্ডা জায়গা খরিদ করে। বিগত ২০০৯ সালে জসিমের জায়গার পাশে অবস্থিত হযরত মোহাম্মদ আলি শাহ (রাহ.) মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম.এ খালেক, নুরুল ইসলাম ও মকবুল আহমদসহ এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিদের অনুরোধে উক্ত খরিদা জায়গা থেকে আড়াই গন্ডা জায়গা এতিমখানা করার জন্য মাজারে দান করে। বাকী আড়াই গন্ডা জায়গা জসিম উদ্দিন ও তার ভাইয়ের নামে বি.এস নামজারী খতিয়ান সৃজন করে ভোগ দখলে থাকে।
জসিমের ভোগ দখলীয় জায়গায় ঘর বাধতে ঘর বাধার জিনিসপত্র নিয়ে গেলে স্থানীয় কিছু কুচক্র-মহল, ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী তাকে বাধা সৃষ্টি করে এবং তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। জসিম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে সন্ত্রাসীরা তার উপর রেগে তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয় এবং রাতের অন্ধকারে ঘর বাধার জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি প্রফেসর সাইফুল ইসলাম থেকে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- ‘জসিম নামে আমি কাউকে চিনি না, এই জায়গা মাজারের জায়গা এবং এই জায়গা দেখা-শোনাকারী কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। ‘
তারা হলো- ১। প্রফেসর সাইফুল ইসলাম (৫৫), ২। মোঃ সোলায়মান (৫১), ৩। মোঃ আবু বকর (৪৫), ৪। মোঃ রুবেল (২৫), ৫। মোঃ ইদ্রিস (৫৫), ৬। মোঃ আব্দুল মালেক (৫৬), ৭। মাঃ নোমান (৪০), ৮। মোঃ ইয়াকুব (৪৬)। সর্বসাং- চকবাজার, কাঁচাবাজারস্থ মোঃ আলি শাহ (রাহ.) মাজার সংলগ্ন, চকবাজার, চট্টগ্রাম।
উল্লেখ্য যে, জসিম উদ্দিন থেকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা মাজারের নামে জায়গাটা নিয়েছিল এতিমখানা করার জন্য অথচ এখন পর্যন্ত এতিমখানা বাধা হয়নি। জসিমের দানকৃত জায়গায় এতিমখানা না করে উল্টা তার বাকী জায়গা দখল করার জন্য প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অতঃপর জসিম স্থানীয়ভাবে মিমাংষা করার প্রাক্কালে স্থানীয় কিছু কুচক্র-মহল, ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী মাজারের জায়গা বলে জায়গা দখল করার নিমিত্তে তার জায়গার উপর রাতারাতি দেয়াল দিয়ে দেয়। সে বাধা দিতে গেলে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা বলে এখানে তার কোনো জায়গা নেই এবং তাকে কিশোর গ্যাং দিয়ে ধাওয়া করে।