🕒 অপরাধ ☰ শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
👤✒নিজস্ব প্রতিবেদক | নিউজ ডেস্ক- তালাশটিভি টোয়েন্টিফোর | চট্টগ্রামের লোহাগাড়া জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অত্র এলাকার জনসাধারণ। প্রতিনিয়তই লোহাগাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার শতাধিক গ্রাহক। এতে করে একদিকে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা যেমন বিপাকে পড়েছেন; তেমনি গ্রাহকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। লোহাগাড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে প্রেরিত ভুতুড়ে বিল নিয়ে ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তেরও অভিযোগ করেছেন।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগের যেন শেষ নেই। ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়সহ অভিযোগের পাহাড় জমে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করা হলেও তারা নির্বিকার।
গ্রাহকরা গণমাধ্যমকে জানান, মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের সাথে বিলের কোনো মিল নেই। মিটারে ইউনিট কম থাকলেও বিল আসছে কয়েকগুণ বেশি। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এ অনিয়মের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করা হলেও সমাধান পাচ্ছেন না তারা।
সরেজমিনে গেলে লোহাগাড়া জোনাল অফিস বিদ্যুৎ সমিতিতে দায়িত্বরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাহকের অভিযোগের সত্যতার মিল পাওয়া যায়। গ্রাহকের প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিলে আকাশ ছোয়া বাড়তি বিল করা হয়। বিদ্যুৎ অফিসে দায়িত্বরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ মনগড়া বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকেন। গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীদের সাথে এবিষয়ে কথা বললে মনগড়া উত্তর দিয়ে অযৌক্তিক যুক্তি দেখিয়ে নয়-ছয় বলে তাদের তাড়িয়ে দেন। এক কর্মচারী আরেক কর্মচারীর উপর অভিযোগ চাপাতে থাকে। সবাই ধোঁয়া তুলসীপাতা হতে চেষ্টা করে। যখন তখন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা, অতিরিক্ত লোডশেডিং সহ গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন অনেক ক্ষেত্রেই মিটার রিডিং না দেখেই বিল তৈরি করেন। মিটার দেখে ইউনিট লিখে নেয়ার মতো পদ্ধতিগত স্বচ্ছতা নেই তাদের। বরং মাস শেষে ‘আন্দাজে বিল’ তৈরি করে সেটিই পাঠিয়ে দেয়া হয় গ্রাহকদের কাছে। ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহক বলেন, অবিলম্বে বিদ্যুৎ বিলের নিরীক্ষা, মিটার রিডিংয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
গ্রাহকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী এবং লোহাগাড়া জোনাল অফিস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম মো. রফিকুল ইসলাম খানের মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।
লোহাগাড়ার জনসাধারণ মনে করছেন, লোহাগাড়া জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এই অনিয়ম শুধু গাফিলতির ফল নয়; এসব কাজে দুর্নীতির একটি চক্র সরাসরি সক্রিয় রয়েছে। এমন পরিস্থিতি মাসের পর মাস চলতে পারে না। সরকার ও দায়িত্বরত প্রশাসন অবিলম্বে চট্টগ্রাম লোহাগাড়া জোনাল অফিস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এ দায়িত্বরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমন প্রত্যাশা ভূক্তভোগীদের।
🪐বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে সবার আগে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24🪐
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন
স্বত্ব © ২০২৪ তালাশটিভি২৪ www.talashtv24.com