২১/১২/২০২৪ ইং
Home / X-Clusive / নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে সংকটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্ররা!

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে সংকটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্ররা!

🕒 চট্টগ্রাম ☰ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

✒️নিউজ ডেস্ক- তালাশটিভি টোয়েন্টিফোর|নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আরো বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রামের মধ্যবিত্তশ্রেণী। আয়ের সাথে ব্যয়ের ব্যবধানে দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে অধিকাংশের। অন্যদিকে নিম্নবিত্তের খাবারের প্লেট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে সবজি। কারণ বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। আলু ভর্তা ডিম খাবে, সেখানেও বেড়েছে খরচ। আলুর কেজি এখন ৬৫ এবং ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। এছাড়া মশুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে, আবার চুপ হয়ে যায়। এতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন অজুহাতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেই চলেছে।

গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি, ২নং গেট, চকবাজার ও বহদ্দারহাট এলাকার কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের সবজির বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকায়। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অপরদিকে শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা এবং কাকরল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া লাউ ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, তিতা করলা ১০০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

অন্যদিকে মুদি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, রসুন ৯০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। এছাড়া নাজিরশাইল সিদ্ধের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ৬০ টাকা, নাজিরশাইল অর্ধ সিদ্ধ ৭০ টাকা, মিনিকেট আতপ ৬৫ টাকা, কাটারিভোগ আতপ ৮০ টাকা, কাটারি সিদ্ধ ৭৮ টাকা এবং চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।

এক সবজি বিক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির ফলন নষ্ট হয়েছে শুনেছি। বর্তমানে সবজির সরবরাহও কমে গেছে। তাই দাম বেশি।

এদিকে মাছ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি লইট্টা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, রূপচাঁদা আকার ভেদে ৬৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, দেশী রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং ৮০০ টাকা, কাতাল ৩৮০-৪৫০ টাকা, কৈ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকায়। এছাড়া মাংসের বাজারে প্রতি কেজি গরু বিক্রি হচ্ছে হাঁড় ছাড়া ৮৫০ টাকা এবং হাঁড়সহ ৭৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়।

নগরীর এক বেসরকারি স্কুল শিক্ষক বলেন, স্কুল থেকে যে বেতন পাই, এতে সংসার চলে না। তাই বাধ্য হয়ে টিউশন করতে হয়। তারপরেও যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি থেকে শুরু করে এমন কোনো পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি। এছাড়া ৫০-৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। এভাবে চলতে থাকলে এ বছর শেষে পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়ে দিতে হবে।

এক দিনমজুর গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি মাসে খরচ বাড়ছে। যে আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। সংসারে ৬ জন সদস্য। আলু-ডিম কিনতেও অনেক টাকা লাগছে। এক ডিম তিন চারজনে ভাগ করে খাচ্ছি। এবিষয়ে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় মধ্যবিত্তশ্রেণীর জনসাধারণ।

🪐বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে সবার আগে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24🪐

Print Friendly, PDF & Email

About newsdesk

Check Also

চবিতে শুরু হচ্ছে ডোপ টেস্ট, পজিটিভ হলে সিট বাতিল

🕒 অপরাধ ☰ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ✒️নিজস্ব প্রতিবেদক (চট্টগ্রাম) | নিউজ ডেস্ক- তালাশটিভি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *