🕒 জাতীয় ☰ শুক্রবার ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
✒️নিউজ ডেস্ক- তালাশটিভি টোয়েন্টিফোর|চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। তীব্র গ্যাস সংকটের ভোগান্তিতে চট্টগ্রাম নগরবাসী ভোর হতে না হতেই গ্যাসের লুকোচুরি শুরু হয়ে যায়। সারাদিনে গ্যাস নেই বললেই চলে। দিনের বেলা পানি ফুটাতেই ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যায়। সন্ধ্যায়ও তেমন একটা গ্যাস থাকে না। রাত ১০টার পরে আসে গ্যাস। যার কারণে সুস্থ থাকি আর অসুস্থ থাকি বাধ্যতামূলক রাতেই রান্না করতে হয়। এমনটাই বলছেন চট্টগ্রাম নগরবাসীরা।
শীত মৌসুমের শুরু থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। রান্নার কাজ করতে ব্যাপক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে গৃহকর্ত্রী বা গৃহকর্মীকে। যার ফলে ভোগান্তির অন্ত নেই নগরীর মানুষের।
অধিকাংশ এলাকায় কখনো গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বলছে, কখনো জ্বলছে না। আবার কখনো জ্বলছে নিবু নিবু করে। এতে বিপাকে পড়ছেন গৃহিণীরা। এতে খাবার রান্না করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে গৃহিণীরা। এছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টের লাইনের গ্যাসেও দেখা দিয়েছে একই সমস্যা। আর এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গ্যাস সিলিন্ডারের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের ক্ষোভ ঝারছেন ভুক্তভোগীরা।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) বলছে, ‘এলএনজি টার্মিনালের সংস্কার কাজের কারণে সরবরাহ কমে গেছে। ফলে নগরীতে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। তবে দু’তিনদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।’
কেজিডিসিএলের তথ্যমতে, ‘চট্টগ্রামে সার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাসাবাড়ি মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই তুলনায় মিলছে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট।’
এদিকে গ্যাস সংকটে দুর্ভোগে পোহাতে থাকা লোকজন ক্ষোভ ঝাড়ছেন ফেসবুকে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ‘হেল্পলাইন চিটাগং’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে জসীম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি পোস্টে লেখেন, ‘১০৮০ টাকা গ্যাস বিল পরিশোধ করেও লাইনের গ্যাস পাচ্ছি না। সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা দিয়ে, এই দুঃখের কথা কেউ কি শুনার আছে? কেউ কি এই সমস্যার সমাধান করবেন?’
তার এই পোস্টের নিচে প্রায় দেড় শতাধিক কমেন্ট করেছেন লোকজন। কমেন্টে খোরশেদুল ইসলাম নামের একজন লিখেন, ‘চট্টগ্রামে গ্যাস সমস্যা অনেকদিন যাবৎ লক্ষ্য করতেছি, সকালে চলে যায় বিকালে আসে, এই সমস্যা নিরসনে কারো মাথা ব্যথা নেই যত সমস্যা গ্রাহকের।’
তানজিনা ইয়াছমিন অপি লিখেছেন, ‘জি, তাই শেষ পর্যন্ত চুলা আর গ্যাস সিলেন্ডার কিনতে হল।’
রাজু আহমেদ নামের একজন কমেন্টের ঘরে লিখেন, ‘কালকে সকাল থেকে গ্যাস নাই। শুনতেছি ২০ তারিখ (জানুয়ারি) পর্যন্ত নাকি এই সমস্যা থাকবে। সঠিক কয়দিন গ্যাস থাকবে না, সেটা কি কেউ জানেন?’
🪐বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24🪐
বিপুল দেব অভিক লিখেন, ‘উচিত জবাব টা এইবার না হয় ভোটের ময়দানে দিয়েন।’
শাওরিন আকতার লিখেন, ‘আগে সকাল ৮টায় যেত, দুপুর ৩টায় আসতো। আর এখন বাপের দিনের সম্পত্তি মনে করে একেবারেই গ্যাস নিয়ে গেছে। অনেক লজ্জা নিয়ে বলতে হয়, অনেক উন্নতি হয়েছে দেশের।’
খোরশেদ আলম লিখেন, ‘এসব বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সবই পরিকল্পিত। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীদের সুবিধাকে মুখ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিশ্চয় সিলিন্ডার ব্যবহারে বাধ্য করা এদের ইচ্ছার প্রতিফলন।’
জুয়েল রানা লিখেন, একে তো দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ কষ্টে আছে, এখন আবার শুরু করেছে গ্যাস নিয়ে, মনে হয় আমাদের বাঁচতে দিবে না।’
আবার অন্যদিকে মোহাম্মদ আশফাকুজ্জামান লিখেছেন, ‘গ্যাস ছাড়া রান্নার রেসিপি আসিতেছে।’