চট্টগ্রাম ☰ রবিবার ১৪ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
তালাশ নিউজ ডেস্ক | অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ রোববার বিকেল ৩টায় মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে। তবে ঝড়ের ব্যাস বড় হওয়ায় পুরোপুরি অতিক্রম করতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঝড়টি আজ ভোর ৬টায় উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এখন কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু ঝড়ের ব্যাস বা আকার অনেক বড় হওয়ায় পুরো ঝড় উপকূল অতিক্রম করতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।
আজ রোববার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ বিকেল ৩টায় মিয়ানমারের সিটুয়ের নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে দেশটির স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
| বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফলে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।