স্বাস্থ্য-বার্তা | বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
তালাশ নিউজ ডেস্ক | সম্প্রতি সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক সেমিনার ও চিকিৎসক সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইংরেজি রোজ শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার সংলগ্ন হোটেল সৈকতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান, এনডিসি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.টি.এম. পেয়ারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ড. মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল পেশাজীবীদের দাবিগুলির প্রতি লক্ষ্য রাখছেন; তারই ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথির বিষয়ে তিনি অত্যন্ত আগ্রহী এবং আস্থা রাখেন। হোমিওপ্যাথিক কল্যাণে তার মেয়াদকালের প্রথম সময়ে তিনি হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে জমি দান করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর হোমিওপ্যাথির কল্যাণে বিভিন্ন কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন, হোমিওপ্যাথি আইন-২০২৩ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন এবং জেলা-উপজেলা ও প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়র জন্য স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ রেখেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে আমার কিছু করার সুযোগ থাকলে আমি প্রশাসনিকভাবে হোমিওপ্যাথদের স্বার্থে যেকোনো ভালো উদ্যোগে অংশীদার হতে আগ্রহী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ.টি.এম. পেয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছেন সরকার। বাংলাদেশ সরকার ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন; যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। এই উদ্যোগগুলোকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিসহ সকল বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রসংসা করে তিনি বলেন, হোমিও চিকিৎসার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বিশ্বব্যাপী হোমিও চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি সাফল্য অর্জন করেছেন। আমাদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় প্রায় শতভাগ শিশুকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা টেকসই ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে চাই। এই লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল উপাদানকে সরকার কাজে লাগাতে চাই। এজন্য হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমার কিছু করার সুযোগ থাকলে আমি হোমিওপ্যাথদের স্বার্থে যেকোনো ভালো উদ্যোগে কাজ করব।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ডাঃ ফজলুল হক সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ দিলীপ কুমার বনিক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায়, রেজিস্টার কাম সেক্রেটারি ডাঃ মোঃ জাহঙ্গীর আলম, কন্ট্রোলার ডাঃ শহিদুল ইসলাম, বোর্ড সদস্য ডাঃ ইসরাফিল হোসেন মুন্সি, ডাঃ মনিরুল ইসলাম ও প্রভাষক ডাঃ আব্দুল জলিল, ডা. এস.এম. ইমরান, ডা. শফিউর বশর, ডা. প্রমেদ দাস, ডা. আনিসুর রহমান, ডা. রুপম রুদ্র, ডা. উজ্জ্বল দাস, ডা. আন্না রাণী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24