চট্টগ্রাম | বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
তালাশ নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ. মালেকসহ ১৭ জন গুণী এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রদত্ত একুশে স্মারক সম্মাননা পদক-২০২৩ পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এম.এ. আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে আয়োজিত বইমেলা মঞ্চে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এ সময় মেয়র বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বুঝতে পারে তাদের স্বতন্ত্র পরিচয়ের ভিত্তিতে জাতিরাষ্ট্র গড়তে হবে। এই চেতনা থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি লজ্জ্বিত যে ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও আমরা সর্বত্র বাংলা ভাষার বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কেবল আইন করে বা জেল জরিমানা করে বাংলা ভাষার সর্বত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বরং মানুষের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ আর স্বাধীনতার চেতনাবোধ জাগ্রত হলেই কেবল সর্বত্র বাংলা ভাষা বাস্তবায়িত হবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ. মালেক বলেন, একুশে পদক পাওয়াতে আমার একটা লাভ হয়েছে, আমার মৃত্যুর পরে আমার দেশের লাল সবুজের পতাকা আমার কফিনের ওপর স্থান পাবে। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন এই পতাকার মর্যাদা রেখেই শেষ যাত্রা করতে পারি।
পদকপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আনোয়ারা আলম এবং মরণোত্তর পদক পাওয়া এ.কে. খানের সন্তান এ.এম. জিয়াউদ্দিন খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ।
উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, হুরে আরা বিউটি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।
উল্লেখ্য, এবার একুশে স্মারক সম্মাননা পদক-২০২৩ প্রাপ্তরা হচ্ছেন- শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় এ. কে. খান (মরণোত্তর), সাংস্কৃতিতে বুলবুল চৌধুরী (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে মৌলভী সৈয়দ আহমদ (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে মোহাম্মদ এজাহারুল হক (মরণোত্তর), শিক্ষায় শাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী (মরণোত্তর), সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়ন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ. মালেক, চিকিৎসায় ডা. পি.বি. রায় এবং ডা. শমীরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় নূরুল আমিন, ক্রীড়ায় আশীষ ভদ্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও গবেষণায় আনোয়ার হোসেন পিন্টু, কবিতায় খালিদ আহসান (মরণোত্তর) এবং রিজোয়ান মাহমুদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় আনোয়ারা আলম, কথাসাহিত্যে আজাদ বুলবুল, শিশুসাহিত্যে উৎপল কান্তি বড়ুয়া এবং জসীম মেহবুব।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24