তথ্যপ্রযুক্তি | শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
নিউজ ডেস্ক | দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। যে তিনটি দেশের মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকেন, তার একটি বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও রয়েছে ভারত ও ফিলিপাইন। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ একবারের জন্য হলেও ফেসবুকে প্রবেশ করেছে। এ সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেছে ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ এই তিন দেশের মানুষ।
১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকে দৈনিক গড় ব্যবহারকারীর সংখ্যা (ডিএইউএস) ১৯৩ কোটি ছিল বলে মেটার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই হিসাবে গত বছরের ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৪ শতাংশ বা ৭ কোটি বেড়েছে। মেটা বলছে, মূলত তিন দেশ- ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের গড় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারী স্পেনের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এক মানচিত্রে আনলে ছবিটা কেমন হবে, তা কল্পনার চেষ্টা করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। এই ছবি অবশ্য বেশ পুরোনো; এর পাশাপাশি ফেসবুকে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর (এমএইউএস) তালিকাতেও শীর্ষ তিন দেশের একটি বাংলাদেশ। মেটার প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৯৬ কোটি। এক বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা ২ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে মেটা বলেছে, নাইজেরিয়া, ভারত ও বাংলাদেশ-এই তিন দেশের ব্যবহারকারীদের সুবাদে গত ডিসেম্বরে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যায় প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ ফেসবুক ব্যবহার করে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য ২০২২ সাল ছিল খারাপ একটি বছর।
গত বছরের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দেয়, তারা প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ হাজার বা ১৩ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করবে। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে কখনো একসঙ্গে এত বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়নি।
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘২০২৩ সালে আমার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার প্রতিপাদ্য হচ্ছে “দক্ষতার বছর”। আমরা আরও শক্তিশালী ও গতিময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, মাঝের স্তরের ব্যবস্থাপনা বাদ দেওয়ার জন্য কাজ করছে মেটা। একই সঙ্গে প্রকৌশলীদের আরও ফলপ্রসূ করে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ব্যবহার নিয়েও কাজ চলছে।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24