ঢাকা | রবিবার, ২১শে আগস্ট ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৭ই আগস্ট দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। রোববার (২১শে আগস্ট) দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২১শে আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ই আগস্ট ওসি মনিরুলের আট তলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ওসি মনিরুল ইসলাম ঢাকায় আট তলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি-প্লটসহ বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
‘সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন? তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকুল্যে সর্বোচ্চ ৫০-৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।’
এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদক চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহ বরাবার পাঠানো চিঠিতে আইনজীবী সুমন ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধান করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে দেশ-বিদেশের সব খবর সবার আগে জানতে ভিজিট করুন- talashtv24.com