ঢাকা | শনিবার, ১১ই জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
নিউজ ডেস্ক : নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের দুর্ভোগ কমানোর বদলে সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে দাবি করেছেন বিএনপি। বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণ অবশ্যই চাপের মুখে পড়বে, এটা সর্বমুখী চাপ।
আমীর খসরু বলেন, মানুষের জীবন-যাত্রার মান যখন কমতে থাকে, তখন এই চাপটা তো সব জায়গায় অ্যাফেক্ট করে। এটা তার দৈনন্দিন জীবনে তার পুষ্টির ওপর আঘাত করে, তার স্বাস্থ্যের ওপর, তার মানসিক অবস্থার ওপর, তার শিক্ষার ব্যবস্থা এবং তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর আঘাত করে। আর সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু।
তিনি আরও বলেন, আজকে যেসব ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, আপনি দেখবেন সেগুলো মূলত সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যাচ্ছে। ভ্যাটের মাধ্যমে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোকে বসে বসে জনগণের ট্যাক্সে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে দেশ-বিদেশের সব তাজা খবর পেতে ভিজিট করুন- talashtv24.com
বাজেট কেমন হওয়া উচিৎ ছিল- এমন প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, এখন বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, আগামীতে সেখানে যাচ্ছে, আজকে সরকারের উচিৎ ছিল সবচেয়ে বড় অঙ্কের ক্যাশ ট্রান্সফার জনগণের কাছে পাঠানো, বেশি করে খাদ্যপণ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া, কৃষক থেকে শুরু করে যারা উৎপাদনের সাথে জড়িত, তাদেরকে সাবসিডাইজ করা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে লুটপাট বন্ধ করা। লুটপাট বন্ধ করা না হলে জনগণকে তা দিতে হবে। কারণ দিনের শেষে টাকা তো জনগণের কাছ থেকে সরকারকে নিতে হচ্ছে। টাকা তো আর আকাশ থেকে আসে না।
নিজের বাড়িতে এই প্রতিক্রিয়া জানানোর শুরুতেই আমীর খসরু বলেন, একটা অবৈধ সরকারের বাজেট নিয়ে কথা বলার মন-মানসিকতা আমাদের নেই, ইচ্ছাও নেই। কিন্তু দেশের বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে বিধায় দেশের মানুষের সামনে প্রকৃত চিত্রটা তুলে ধরার জন্য কিছু বক্তব্য তুলে ধরতে চাই। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশে থাকা সম্পদের কর দিয়ে দায়মুক্তির ঘোষণাকে অনৈতিক বলে সমালোচনা করেছেন আমীর খসরু। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীনদের অর্থ পাচারের প্রমাণ মিলল।