প্রকাশিত: রবিবার , ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
নিউজ ডেস্ক | শিক্ষা | তালাশটিভি টোয়েন্টিফোর ডটকম
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনা মহামারীর কারণে বিলম্বিত শিক্ষাবর্ষ শেষে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
মহামারীর কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করে, জিপিএ-৫ পান এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
পদ্ধতিগত পার্থক্যের কারণে ২০২০ সালের সঙ্গে ২০২১ সালের ফলের তুলনা করে পাসের হারে হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব করা যৌক্তিক হবে না। তবে আগের বারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২৭ হাজার ৩৬২ জন।
মহামারী শুরুর আগে ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় সার্বিকভাবে পাস করে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আর ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফল বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও সংগ্রহ করা যাবে ফল।
এইচ.এস.সি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানতে ক্লিক করুন www.educationboardresults.gov.bd
অথবা www.bise-ctg.gov.bd
২০২০ সালে দেশে মহামারীর প্রকোপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তবে ২০২১ সালে পরীক্ষা ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পরের ধাপে পাঠাতে চায়নি সরকার। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় আট মাস পিছিয়ে যায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
স্বাভাবিক সময়ে এপ্রিলে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় গত ২ই ডিসেম্বর। বিশেষ পরিস্থিতিতে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ৬টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়। ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা এবার নেওয়া হয়নি। তার বদলে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সেসব বিষয়ের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর বা আপনার পাঠানো বিজ্ঞাপন দেখতে ভিজিট করুন- talashtv24.com