প্রকাশিত: শনিবার, ২৯শে জানুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
নিউজ ডেস্ক : তালাশটিভি টোয়েন্টিফোর ডটকম
সাত বছর বয়সী শিশুর নানা প্রশ্ন তার বাবার কাছে। সেদিন টেবিলে বসে খেতে খেতে জানতে চাইলো, বাবা! লালশাক দিয়ে ভাত মাখলে ভাত লাল হয়ে যায় কেন?
আজ আমরা এ প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পেতে চেষ্টা করবো। বলা হয়- রঙ যত গাঢ়, পুষ্টি তত বেশি। লালশাক খুব পুষ্টিকর। প্রথমে আসি, লালশাকের রঙ লাল হওয়ার কারণ বিষয়ে।
লালশাকের পাতার কোষে আছে ‘প্লাস্টিড’, সেখানে থাকে ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিল আবার তিন প্রকার- ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট ও লিউকোপ্লাস্ট। লালশাকে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকায় তা লাল রঙের হয়।
আবার যে সব গাছের পাতায় ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে সেগুলোর পাতা সবুজ হয়। ক্রোমোপ্লাস্ট থাকা পাতা লাল ছাড়াও কমলা বা হলুদ রঙের হতে পারে। আবার যেগুলোতে লিউকোপ্লাস্ট থাকে সেগুলো সাদা হয়। লালশাকে আবার আছে ‘ক্যারোটিন’। এ শাক সূর্য থেকে আসা সব রঙ শুষে নেয় এবং লাল রঙ ফিরিয়ে দেয় বলে তাকে লাল দেখায়।
এবার আসি লালশাক দিয়ে মাখলে ভাত লাল হয়ে যায় কেন। শাকের রঙ লাল বলেই এমন হয় তা নয়, এমন অনেক সবুজ শাক আছে যা দিয়ে মাখলে ভাত সবুজ হয় না। পালং শাক দিয়ে ভাত মাখলে অল্প বিস্তর সবুজ হয়। ধনেপাতার ভর্তা মাখলেও ভাত সবুজ হয়। আবার পুঁইশাকে তা হয় না।
লালশাকে আছে জলে দ্রবণীয় অ্যান্থোসায়ানিন, এ উপাদানের জন্য লালশাক ভাত দিয়ে মাখলে ভাত লাল হয়ে যায়। কিন্তু অ্যান্থোসায়ানিন সবুজ শাকে থাকে না, ক্লোরোফিল যদি জলে দ্রাব্য হতো তবে পালং শাকও ভাতকে সবুজ করতো।
বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর বা আপনার পাঠানো বিজ্ঞাপন দেখতে ভিজিট করুন- talashtv24.com