মহানবীর (সা:) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই শান্তি নিহিত-প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: বুধবার, ২০শে অক্টোবর ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
নিউজ ডেস্ক, তালাশটিভি টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)- এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মহানবী (সা:)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্ধ-সংঘাতসময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা:)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণে নিশ্চিত হতে পারে।” বুধবার (২০শে অক্টোবর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর জন্ম এবং ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ই রবিউল আউয়াল তথা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন শান্তি, মুক্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আ’লামীন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে।”
নবী করিম (সা:)-কে বিশ্ববাসীর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি। -(সূরা- আল-আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)। মুহাম্মদ (সা:) এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:)-এর অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষদের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকে।
হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর শান্তিপূর্ণ ‘মক্কা বিজয়’ মানব ইতিহাসের এক চমকপ্রদ অধ্যায়। কার্যত তিনি বিনাযুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে ও বিনাধ্বংসে মক্কা জয় করেন। শত অত্যাচার-নির্যাতন ও যুদ্ধ করে আজীবন যে জাতি নবী করিম (সা:)-কে সীমাহীন কষ্ট দিয়েছে, সেসব জাতি ও গোত্রকে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি অতুলনীয় ক্ষমা প্রদর্শন করে তাদের সঙ্গে উদার মনোভাব দেখিয়ে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষমা ও মহত্ত্বের দ্বারা মানুষের মন জয় করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এমন নজির বিশ্বে দুর্লভ।”
ঘরে বসে বিজ্ঞাপন দিন
শ্রেণিভূক্ত বিজ্ঞাপন যেমন- নিয়োগ, আবশ্যক, ক্রয়-বিক্রয়, পাত্র-পাত্রী, ভাড়া, হারানো বিজ্ঞপ্তি, শুভেচ্ছা, জন্মদিন, কৃতি শিক্ষার্থী, টিউটর দিচ্ছি/নিচ্ছি, এফিডেভিট, বিবিধ বিজ্ঞাপনসহ যেকোন বিজ্ঞাপন প্রদানের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৮৪০ ৮৬২৯০১ অথবা ই-মেইল করুন- talashtv247@gmail.com এ ঠিকানায়। মূল পত্রিকা ছাড়াও আপনার পাঠানো বিজ্ঞাপন দেখতে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে ভিজিট করুন- www.talashtv24.com
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)-এর এই দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, “মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে মহানবী (সা:)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণ কাজ করার তৌফিক দান করুন-আমিন।”