‘আইআইইউসি’ ক্যাম্পাসে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ড.আবু রেজা নদভী
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩শে জুন ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) চট্টগ্রামের কুমিরাস্থ ক্যাম্পাসে ২২শে জুন (মঙ্গলবার) বিকেল তিনটায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বাণিজ্য অনুষদের পেছনে নিজ হাতে আম গাছের চারা লাগিয়ে মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ‘আইআইইউসি’ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় বিউটিফিকেশন এন্ড সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মাহী উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ। উপস্থিত ছিলেন ‘আইআইইউসি’ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মুহাম্মদ, বিওটি সদস্য ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী, বিওটি সদস্য মিয়া মুহাম্মদ ইসমাইল মানিক, খালেদ মাহমুদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাসছরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শফীউর রহমান, প্রক্টর নেজামুল হক, একাউন্স এন্ড ফাইন্যান্স ডিভিশনের ডাইরেক্টর আফজাল আহমদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অপরিসীম। গাছপালা ও বনভূমি যেমনিভাবে আমাদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে ঠিক তেমনিভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করে। গাছপালা ও বনভূমি ছাড়া মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণ অসম্ভব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশের মোট বনভূমির আয়তন হচ্ছে ১৭.৪ ভাগ। দিন দিন কমে যাচ্ছে বনভূমির আয়তন। বিলুপ্ত হচ্ছে জীবজন্তু ও বন্যপ্রাণী। এতে হুমকির মুখে পড়ছে দেশ ও দেশের মানুষ। এখনই উদ্যোগ নিতে হবে বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করে বাংলাদেশের বনভূমিকে মোট আয়তনের ২৫ ভাগে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর তখনই স্বার্থক হবে সরকারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।’
সর্বোপরি, মাসব্যাপী এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে পাঁচ হাজার ঔষধি, ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করা হবে।