সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হবে না: ওবায়দুল কাদের
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুন ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারকে গণমাধ্যম বান্ধব উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘করোনাকালে মিডিয়া কর্মীদের বন্ধু ও স্বজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পাশে দাঁড়িয়েছেন। পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুরক্ষায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হবে না।’ বুধবার (১৬ই জুন) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ শেখ হাসিনা সরকার করেনি, করবেও না। বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের রেকর্ড গড়েছিল এবং তাদের শাসনামলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও আনা হয়েছিল। গণমাধ্যমের সেই শত্রু ও নির্যাতনকারী বিএনপি আজ সাংবাদিকদের বন্ধু সেজেছে। তাদের মুখোশ সবার জানা। বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের উসকানি দিয়ে বিদ্যমান স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি। দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির মুখে দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম। দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহিষ্ণুতা নীতিতে অটল। মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী ওও আমলা যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।’
দুদক স্বাধীনভাবে তদন্তের মাধ্যমে কাজ করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয় অনেক এমপিরও সাজা হয়েছে, কেউই রেহাই পাচ্ছে না এবং দলীয় পরিচয়ের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে আছেন। দুর্নীতি ও অপকর্মের সাথে জড়িত কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনোভাবেই মনোনয়ন পাবে না। দুদকের মতে তথ্যপ্রমাণের অভাবে অনেক মামলা এগোচ্ছে না, কাজেই ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে এবং অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সুস্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতি করে যারা দেশ-বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বা সম্পদ গড়েছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’