সরকারি কর্মকর্তারা ৫০ লাখ টাকা দিয়ে কীভাবে বোট ক্লাবের সদস্য হয়?
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুন ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেছেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো- এই বোট ক্লাব কারা করল? একেকটা ক্লাবের মেম্বার হতে ৫০/৬০ লাখ টাকা খরচ হয়। এই ক্লাবের ভেতরে কী হয়? আমি যতটুকু জানি, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। বারের লাইসেন্স আছে। কিন্তু যারা মদ খাবে, তাদেরও লাইসেন্স থাকতে হয়।’ বৃহস্পতিবার (১৭ই জুন) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাব ও ঢাকা ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবে গ্যালনের পর গ্যালন মদ বিক্রি হয়। এগুলো কারা খায়? এরা সবাই কি লাইসেন্সধারী? যদি লাইসেন্সধারীরা খায় তাহলে এত খাওয়ার কথা নয়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা এসব ক্লাবের মেম্বার। কীভাবে তারা এই সমস্ত ক্লাবের মেম্বার হয়? আমরা তো চিন্তাও করতে পারি না যে, ৫০ লাখ টাকা জীবনে কামিয়েছি এইটা দিয়ে মেম্বার হব। তারা কীভাবে, কী করে মেম্বার হয়?
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় গুলশানে বিভিন্ন বাড়িতে ডিজে পার্টি হয়। এই যে এয়ারপোর্টে অ্যারেস্ট হলো, পত্রিকায় দেখলাম, যাদের অ্যারেস্ট করা হলো, সেটাও না কি একটা ডিজে পার্টি ছিল রাতে। এই ডিজে পার্টিগুলোতে কী হয়? সেখানে নেশা করা হয়, মদ খাওয়া হয়, ড্যান্স হয়। যেগুলো আমাদের আইনে নেই, কালচারে নেই। যেটা আমাদের ধর্মে নেই।’
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন, এই সমস্ত ডিজে, গুলশানে যে ড্যান্স হচ্ছে, কেন হচ্ছে? কেন এই সমস্ত বন্ধ করা হবে না? এ সমস্তগুলোতে যারা যাচ্ছে, তারা কারা? কারা এত টাকা দিয়ে মেম্বার হয়? এই মদ যে বিক্রি হয়, লাইসেন্সধারীরাই কি খায়? না কি লাইসেন্সধারী ছাড়া খায়? এগুলো একটু দেখা প্রয়োজন।’
পরিশেষে, জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটা পাবলিক পারসেপশন যে বড়লোকরা যা করে তার কোনো বিচার নেই। গ্রামে-গঞ্জে একটু মদ খেলে পুলিশ অ্যারেস্ট করে। কিন্তু ক্লাবে গিয়ে লাইসেন্স ছাড়া মদ খেলে কেউ অ্যারেস্ট করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব বিষয়টি দেখার জন্য। পত্রিকায় দেখলাম, উত্তরার বোট ক্লাবটার না কি জায়গার মালিক একজন আছে, সে এই জায়গার দখল পাচ্ছে না। এইটা জোর করে করা হয়েছে। এগুলোও দেখা দরকার, আসলে এগুলো ঠিক কি না।’