নিয়মিত বাদাম খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস!
প্রকাশিত : সোমবার, ২৪শে মে ২০২১ ইংরেজি
মোঃ আলমগির হোসেন :
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। সামান্য ভুলেই বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা। ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় কী খাবেন আর কী খাবেন না, এসব ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে জানেন কি, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ এক খাবার হলো বাদাম।
চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন আছে। প্রতিদিন এক মুঠো চিনা বাদাম খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। চিনা বাদামে কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে। এর অর্থ তারা খুব দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এ ছাড়াও চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী, চিনা বাদাম বেশ সহজলভ্য এবং উপকারী।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালের গবেষণা অনুসারে, চিনা বাদাম বা পিনাট বাটার খাওয়ার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণে অসম্পৃক্ত ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকে, যা আপনার দেহের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
চিনা বাদামে কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে। এর অর্থ তারা খুব দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। ডায়াবেটিস রোগীর কম গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়া জরুরি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আপনার শরীর শর্করা এবং রক্তে শর্করা কার্বোহাইড্রেটকে রূপান্তর করে তার উপর ভিত্তি করে। চিনা বাদামের ১৩টি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে।
ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাতঃরাশে পিনাট বাটার খেলে ক্ষুধা কমে। সারাদিন রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এ ছাড়াও চিনা বাদামে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে।
পুষ্টিবিদদের মতে, চিনা বাদামে আখরোটসহ বিভিন্ন বাদামের সমান পুষ্টিগুণ থাকে। আবার চিনা বাদাম অন্যান্য বাদামের তুলনায় দামেও সস্তা। চিনা বাদাম শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যই নয় হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও কার্যকর।
চিনাবাদাম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ওজন কমতে শুরু করে। রক্তে শর্করার মাত্রা আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ক্যালোরি পোড়ানোর সেরা উপায় হলো প্রোটিন।
বাদামে থাকা পুষ্টিগুণ শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে। রাতে ১০-১৫টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।