পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ
নিজস্ব ডেস্কঃ
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ শুক্রবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি)। খুশি, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের দিন। কিন্তু মহামারি করোনার ফলে গত দুই ঈদের মত নানা বিধি-নিষেধ ও শঙ্কার মধ্যে ঈদ উদযাপন করবে দেশবাসী। এই ঈদেও বড় জামাত করে নামাজ পড়া যাবে না। মসজিদেই পড়তে হবে ঈদের নামাজ। করা যাবে না কোলাকুলি ও করমর্দন।
তবে এত কিছুর মধ্যেও জীবন বহমান। আর সেই বহমান জীবনে স্রোতেই মানবজাতিকে চলতে হয়। তাই ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’এই গানটি বেজেছে ঈদুল ফিতরের আগের রাতেও। কেউ কেউ আবার ফুটিয়েছেন আতশবাজি।
এছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি নিয়েও ঈদে আপনজনের পাশে থাকতে গ্রামে ছুটে গেছেন অনেকে। আর রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শপিংমল, মার্কেট ও ফুটপাতে গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে কেনাকাটা।
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
আর জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো ঈদ সংখ্যা ছাড়াও বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করেছে। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান।
ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ই মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিত্তবানদের নিজ এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির এই সংকটকালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কষ্টে আছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এর মধ্যে আবার চলে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিত্তবান যারা আছেন বা যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের প্রতি অনুরোধ- এই দুঃসময়ে আপনারা দরিদ্র প্রতিবেশী, গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার সাহায্য হয়তো একটি পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাবে। দেখবেন, তাদের হাসিমুখ আপনার হৃদয়-মনকেও পরিপূর্ণ করে তুলবে ঈদের আনন্দে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় কর্তব্য। আমরা যেন এই কর্তব্য ভুলে না যায়।
মহামারি করোনার কারণে এবারও জাতীয় ঈদগাহ মাঠে হচ্ছে না ঈদের জামাত। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের প্রধান জামাত।