প্রতারক ইসামনির বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে সুজনের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম আনোয়ারার মোছাম্মাৎ কলি ওরফে ইছামনি (২৬) নামের এক প্রতারক মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়। সে আনোয়ারা থানার সত্তার হাট, কামাল সওদাগরের বাড়ির মৃত মোঃ শফিকের মেয়ে। সে হাটহাজারী থানাস্থ নুর মিয়ার বাড়ির আনোয়ার মিয়ার ছেলে মোঃ জাহেদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে বিবাহ করে।
খবর নিয়ে জানা যায়, এই মহিলা প্রতারক তার স্বামীর সাথে প্রতারণা করে বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর হাটহাজারী থানাস্থ এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে সহজ-সরল মানুষের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ মহিলা বিগত ০১/১২/২০২১ ইং তারিখে মুরাদপুরস্থ জিএম আইটি ইনস্টিটিউট অফিসের কর্মকর্তা সুজন নামের এক যুবকের কাছে গ্রাহক হিসেবে আসে।
পরবর্তীতে তার অভাবের কথা সুজনকে খুলে বললে তিনি ইছামনিকে অফিসে কাজের সুযোগ করে দেয়। মেয়েটি ১মাস চাকরি করার পর অসুস্থতার অজুহাতে চাকরি ছেড়ে দেয়, ফলে তার সমস্ত বেতন তাকে পরিশোধ করে দেয়া হয়। কিন্তু চাকরি ছাড়ার ১০-১৫ দিন পর সুজনের অফিসে এসে জানায় সে অসুস্থ এবং সুস্থ হলে আবারও চাকরি করবে। সে অনেক কাকুতি-মিনতি করে তার চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত খরচের জন্য ৫০০০/= টাকা হাওলাত চায়। সেও সরল বিশ্বাসে তাকে ৪০০০/= টাকা হাওলাত দেয়। কিন্তু সেও তার বোনের মেয়েকে নিয়ে পরের মাসে এসে পুনরায় একইভাবে টাকা হাওলাত চাইলে সুজন তাকে টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে পূর্বের প্রদানকৃত টাকা ফেরত চায়।
সুজন ইসামনি থেকে হাওলাতকৃত টাকাগুলো ফেরত চাইলে তাকে বিবাহ করতে চাপ প্রয়োগ ও প্রচন্ড গালিগালাজ করে। ইসামনি সুজনকে বলে, তুমি আমাকে টাকা ধার দিয়েছো আমাকে বিয়ে করবে বলে এবং সে আরো বলে, আমাকে বিয়ে করো না হয় প্রতিমাসে ৫০০০/= টাকা দিতে হবে। এভাবে সুজনকে বিয়ে করার জন্য বেশি চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে সে বলে, সে সনাতন ধর্মাবলাম্বী ও বাসার একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি এখন সে বিয়ে করতে পারবেনা বলে প্রত্যাখ্যান করে।
এক পর্যায়ে সুজনকে এই বলে হুমকি দেয় যে, তুমি আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করে তোমাকে দায়ী করবো। পরবর্তীতে সুজন তার ভবিষ্যত নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিগত ০৪/০৩/২০২১ইং তারিখে চট্টগ্রাম মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হয়ে উক্ত মহিলার বিরুদ্ধে একটি জিডি করে। যার নং- ৮৬/২০২১ (পাঁচলাইশ)।
ইছামনিকে বারবার সতর্ক করার পরও উক্ত মহিলা সুজনের অফিস ও বাসায় এসে স্টাফ ও পরিবারের নিকট তার বিবাহিত স্ত্রী বলে গুজব ছড়িয়ে তার সম্মানহানি এবং সকলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আর তার অফিস ও বাসার মোবাইল ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রতিনিয়ত এই প্রতারক মহিলা মোবাইল-ফোনে সুজনকে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে এবং এর অন্যথা হলে তাকে জঘন্যতর গালিগালাজসহ বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে।
পরিশেষে উক্ত প্রতারক মহিলা ইসামনির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসহায় হয়ে সুজন গত ২১/০৪/২০২১ইং তারিখে চট্টগ্রাম সিএমপি পুলিশ কমিশনারের নিকট তার (ইসামনি) বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি অভিযোগ দাখিল করে।