মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইনঃ
অদ্য ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ইংরেজি রোজ মঙ্গলবার বাদে মাগরিব হযরত শাহ্পীর আউলিয়া (রাহ্ঃ)’র বার্ষিক ফাতেহা শরীফে রাহবারে বায়তুশ শরফ শায়খ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হাই নদভী (ম.জি.আ) বলেন, নবীগণ হচ্ছেন মানবজাতির জন্য রহমত আর অলিগণ নেয়ামত স্বরুপ। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরপর থেকেই নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হয়ে শুরু হয়েছে বেলায়েতের যুগ। সুতরাং নবুয়ত পরবর্তীতে যুগেযুগে অলি-আল্লাহগণই মোর্শেদরুপে মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বায়তুশ শরফের প্রধান রুপকার মুজাদ্দিদে আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার (রাহঃ) তরিকতের খেদমতের পাশাপাশি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি সমাজ থেকে মদ, জুয়া, ব্যভিচার, শিরক ও বিদআত দূর করতে তৎপর ছিলেন। তিনি আরো বলেন, লোহাগাড়া উপজেলার দরবেশহাট এলাকায় সূফি দরবেশ হযরত শাহপীর আউলিয়া (রাহঃ) এর মাজারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ ওরশের নামে অশালীন নাচ-গানের আসর বসতো এবং শরীয়ত বিরুধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকতো।
আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার (রাহঃ) গত শতাব্দীর আশি দশকের শুরুকে তাঁর জাগতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রভাবে এসব কর্মকান্ড উচ্ছেদ করে সেখানে ওয়াজ-নসিহত এবং মিলাদ মাহফিলের ব্যবস্থা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৩৪০ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁও এর স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ্ প্রথম চট্টগ্রাম জয় করার পূর্বে ১২ জন সূফি ও পীর আউলিয়া ইয়েমেন, বাগদাদ ও পারস্য হতে চট্টগ্রামে এসে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লোহাগাড়া দরবেশহাটে শায়িত হযরত শাহ্পীর আউলিয়া (রাহঃ)। বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনায় তাঁকে চট্টগ্রামের বার আউলিয়ার সরদার বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রবীণ আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা অহিদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবির, ড. মাওলানা মহিউদ্দিন মাহী, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মাহমুদুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, মাওলানা মাহবুবুল বশর আল-ক্বাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, মাওলানা শফিক আহমদ নঈমী, মাওলানা শরীয়ত উল্লাহ জিহাদি, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা জিয়াউল হক আনসারী প্রমুখ।