ঢাকা প্রতিনিধি :
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসানকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী আদালতে হাজির হওয়ার পর হাইকোর্ট এই এসপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এটা তো পুলিশি রাষ্ট্র নয়। কে কোন দল করে কিংবা কোন আদর্শ ধারণ করে সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশকে দেয়া হয়নি।
আজ সোমবার ২৫শে জানুয়ারি বিচারপতি মামনুর রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন। সেখানে আরো বলা হয়, পুলিশের আচরণে মানুষের যেন মনে না হয়, তারা একটা পুলিশি রাষ্ট্রে বসবাস করছে। এর আগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসানকে লাঞ্চিত করার পর তাকে ‘বিএনপি পরিবারের’ বলে মন্তব্য করেছিলেন পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে এসপি তানভীর আরাফাত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন দাখিল করা হয়। সেই আবেদনের কপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আবেদনের অনুলিপি আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজির দপ্তরেও পাঠানো হয়েছিল।
মোঃ মহসিন হাসান অভিযোগে বলেন, ভোটের অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে বুথের বাইরে ডাকেন তিনি। কথা বলা শুরু করতেই কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত ৪০-৫০ জন ফোর্স নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন এবং প্রিসাইডিং অফিসারকে ডাকতে শুরু করেন। এ সময় মহসিন হাসান নিজের পরিচয় দেন এবং বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে একটি বিষয়ে তার কথা হচ্ছে। তারপরও ধমক দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এরপর তিনি যখন আবারও তার পরিচয় দেন তখন ক্ষিপ্ত হন পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, ‘এখানে কী করেন আপনি? বেয়াদব, বের হয়ে যান এখান থেকে।’ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পুলিশ সুপার ও তার ফোর্সদের এই আক্রমণাত্মক আর চরম অসৌজন্যমূলক ও মারমুখী আচরণে তিনি হতচকিত ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন