নিজস্ব ডেস্ক :
বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কর্মরত কর্মকর্তাদের তালিকাসহ তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তারা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কেন ব্যর্থ, এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট বিভাগ, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন, মার্কেট ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিয়ম ভঙ্গ করায় প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পরে বিএসইসির কাছে এ সংক্রান্ত নথি তলব করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দীন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশ্যই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যর্থতার বিষয়ে জবাবদিহিতা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পিকে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হতে বসেছে এবং গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসবের মাঝেই পিকে হালদার গোপনে দেশ ছাড়েন।
ওইসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে একপর্যায়ে পিকে হালদারের বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান উচ্চ আদালত।
অন্যদিকে ৮ জানুয়ারি ইন্টারপোলের মাধ্যমে পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।